কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে লাগামহীন বর্ষণের কারণে কৃষকের স্বপ্ন সব ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। টানা দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে কোটচাঁদপুর ও পার্শ্ববর্তী উপজেলাতে বৃষ্টির পানিতে মাঠকে মাঠ পাকা ধান হাবুডুবু খাচ্ছে। শুধু তাই নয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কৃষকের এখন সবজি চাষের মৌসুম যেমন পটল, সিম, বেগুন,লাউ,আলু,ভুট্রা সহ অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যাই, পৌর এলাকার বলুহর বাসষ্ট্যান্ড এর ভাটার মোড়ে তিন বিঘা আমন ধান হাবুডুবু খাচ্ছে। তারপাশে রয়েছে প্রায় ছয় বিঘা জমির ওপর একটি মাছের ঘের পানিতে থইথই করছে।
এসময় স্থানীয় বাসিন্দা মমিনুর রহমান হিরা নামে একজনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, টানা বৃষ্টির কারনে পানি প্রায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এবং এখানে ছয় বিঘার যে মাছের ঘের রয়েছে, সেটা প্রবল বর্ষণে পানি বেড়ে যাওয়ায় আনুমানিক ক্ষতি হয়েছে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা।
তিনি আরও বলেন কোটচাঁদপুর পান্তা-মাঠ, পারলাট মাঠের পানি খাল-দিয়ে চলে যায় কপোতাক্ষ নদে।কিন্তু খাল দুই দিক থেকে চেপে ছোট হয়ে যাওয়ার কারনে একটু মোটা বৃষ্টি হলে এই মাঠের সমস্ত কৃষকদের অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এসময় তিনি সহ আরও অনেকে পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম এর কাছে এই খাল টা খনন করে কপোতাক্ষ নদীতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য জোর দাবি জানাই।
এবিষয়ে পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, এই খালটা জেলা পরিষদের খাল। তারপরও পৌরবাসীর কথা চিন্তা করে আমার পক্ষ থেকে আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।